পাঁচ আগস্টের পর সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধ হলেও রংপুরের পাগলাপীরে অটোবাইক ও থ্রী হুইলারে চাঁদাবাজী বন্ধ হয়নি। চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে পাগলাপীর-জলঢাকা সড়কে চলাচলরত অটোবাইক ও থ্রী হুইলার চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত চলতি বছরের জুন মাসে জাতীয় দৈনিক আজকালের খবর ও অঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক দাবানলে সংবাদ প্রকাশিত হলে এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাগলাপীরে এসে চাঁদাবাজী বন্ধ করে দেন। সেনাবাহিনীর অভিযানের পর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে চাঁদা উত্তোলন। নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক কয়েকজন চালক অভিযোগ করে বলেন পাগলাপীরের চাঁদাবাজের লিডার এনদাদুল হকের নেতৃত্বে মজিবুল হক হক, আলামিন,শামিম হোসেন ও সুজা মিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উক্ত স্থানে চাঁদা উত্তোলণ করে আসছেন। প্রতিটি অটোবাইক থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং থ্রী হুইলার থেকে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা উত্তোলন করেন। নির্ধারিত চাঁদা না দিলে চালকদেরকে গলাধাক্কা থেকে শুরু করে লাটিপেটা সহ এমনকি গাড়ীর মধ্যে লাটি দিয়ে ডাং মারেন এবং অকট্ট ভষায় গালাগালি করেন চাঁদাবাজরা। অটোবাইক ও থ্রী হুইলার চালকরা জানান কিছু দিন আগে চাঁদা বন্ধ থাকায় আমরা অনেকটা স্বস্তিতে ছিলাম এবং রাস্তায় কোন প্রকার যানযট ছিলনা আবার চাঁদা উত্তোলন শুরু হওয়ার ফলে পাগলাপীরে আবারও যানযট শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত জোরপূবক চাঁদা আদায়ের ফলে তাদের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডা গেলে আছে। চাঁদাবাজদের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি,কারন আমাদের বাড়ি অনেক দুরে সেখান থেকে ভাড়া নিয়ে পাগলাপীর আসতে হয়। চাঁদা দেওয়ার পরও উক্ত স্থানে গাড়ী রাখতে দেননা তারা, কোন রকম ৩ থেকে ৪জন যাত্রী নিয়ে আসতে হয়। আমরা এমনিতেই ভাড়া গাড়ী চালাই মালিককে জমা দিয়ে আর চাঁদা দিতে কোন টাকা থাকে না। গাড়ী চালার পরও পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদেরকে সমস্যায় থাকতে হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উক্ত স্থানে ডিউটিরত পুলিশ প্রশাসন থাকলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে তাদের চাঁদাবাজী বন্ধে বাধা দিচ্ছেনা। এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবু সাইম সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি চাঁদাবাজী বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসদেন। বিষয়টি সেনাবাহিনীর দৃষি আর্কষন করছেন ওই রোডের চলাচলরত অটোবাইক ও থ্রী হুইলার চালকরা।
BDNN