মোঃ আমজাদ হোসেন: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও দৈনিক মুক্তবার্তার পাঁচবিবি প্রতিনিধি সাইদার এর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ইউপি সদস্য শফিকুল এতে সাইদার ইসলাম অস্বীকৃতি জানালে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েছে ধরঞ্জী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন। (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে শফিকুল মেম্বার ও তার ছেলে রাকিবুল কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাইদার ইসলামকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারধর করে।
একপর্যায়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে নিয়ে এসে আবারও মারধর করে চলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় পাঁচবিবি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে সাইদারের স্ত্রী সাবিহা সুলতানা।
এঘটনায় ২ নং আসামী শফিকুল মেম্বারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২১) কে আটক করেছে পুলিশ। ১ নং আসামী শফিকুল মেম্বার পলাতক রয়েছে।
পাঁচবিবি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসাবে চাকুরী করে সাইদার ইসলাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করাকালে গত ১০ দিন পূর্ব ধরঞ্জী ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাইদার ইসলামের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে শফিকুল মেম্বার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করিতে দিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ( ১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর রুমে প্রবেশ করে ইউপি সদস্য শফিকুল (৪২) ও তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২১) সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে অতর্কিত ভাবে সাইদার ইসলামের উপর হামলা চালায়। আসামীরা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, তার পরিবার ও তাকে রাতের আঁধারে মারপিট এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।
এবিষয়ে রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে এলাহী বলেন, আমি ও আমার উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় ধরঞ্জী ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ে ঢুকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর রুমে সাইদার ইসলামকে মারধর করে। পরে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর রুম থেকে টেনেহিঁচরে আমার অফিসে নিয়ে আসে। আমার অফিসে সাইদারকে নিয়ে এসে তার ছেলে ধরে রাখে এবং শফিকুল মেম্বার লাঠি দিয়ে মারপিট করে। একপর্যায়ে আমরা বাঁধা প্রদান করলে সাইদারকে গুরুতর আহত করে তারা চলে যায়। আমার অফিস স্টাফকে মারপিটের ঘটনায় আমরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন ও শফিকুল ইসলামের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাইদার ইসলামকে মারধরের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছে। এজাহার দায়ের করলে আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) তুহিন রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। মামলার ২ নং আসামী রাকিবুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শফিকুল মেম্বার পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।