Friday, 18 April 2025, 02:59 AM

পাঁচবিবিতে গ্রাম পুলিশ এখন ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন...

মোঃ আমজাদ হোসেন: পৃথিবীতে বাবা-মায়ের বিকল্প মেলানো সম্ভব নয়। এই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একমাত্র বাবা-মায়ের কাছেই পাওয়া যায়। কিন্তু সেই বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের নিষ্ঠুর আচরণ কাম্য নয়। ছোট থেকে লালনপালন করে বড় করলেন, যে বাবা নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে ৫০০ টাকা বেতনের গ্রাম পুলিশের চাকরি করে সন্তানদের বড় করেছে সেই বাবা-মা আজ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভিক্ষা করছেন। পেটের জ্বালা মেটাতে দিনের পর দিন রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছেন।


সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দ্রী গ্রামের চৌকিদার লিপিন মালির কথা পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ ২৫ বছর গ্রাম পুলিশের চাকুরি করে তিন মেয়ে দুই ছেলেকে  লালনপালন করলেন। এখন সেই ছেলে মিয়েরা কেও বাবা-মার খোঁজ নেন না। অনেকদিন যাবৎ বিভিন্ন রেগেও ভুগছেন সে সহ তার স্ত্রী । প্রতিদিন ঔষধ কিনতে হয় তাদের। বয়স্ক ভাতা ছাড়া পাননা কোন সরকারী সুবিধা। যে সরকারি ঘড়টিতে আছে সেটাও তার ছোট ছেলের যে কোন সময় রাস্তায় থাকতে হবে তাকে।


নিপেন মালি বলেন, আমি ২৫ টি বছর ইউনিয়ানের মানুষকে সেবা দিয়ে নিজের জিবন বিলিন করলাম আজ আমি অসহায়, আমার পরিবার ভিক্ষার টাকায় চলে আমাকে দেখার মত কেও না-ই। 


যে বয়সে ছেলে-ছেলে বউয়ের সেবা যত্ন, নাতি-নাতনির ভালোবাসা, নাতি-নাতনিদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে ভিক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের।


এলাকাবাসী জানান, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে চাকরি করেছেন লিপেন মালি। চাকরি শেষে বেকার জীবনে খেয়ে না খেয়ে চলছে পরিবার। লিপেনের চিকিৎসা ও সংসার খরচ জোগাতে ভিক্ষার রাস্তা বেচে নিতে বাধ্য হয়েছ তার পরিবারটি। 


জেলাপ্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন সহ উপজেলার  বিত্তবানরা তার পরিবারটিকে সু নজর দিবেন বলে আশা রাখেন এলাকাবাসী।

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P