মোমিন ইসলাম সরকার, দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার গড়দিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতি ও ঘুষ–দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জাতীয় দৈনিক নবচেতনা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তির আলোকে খারিজা কাটনহারীর সেরাজুল ইসলাম ও লায়লা বেগমের কন্যা মোছাঃ মরিয়ম আক্তারকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে নিয়োগপত্র প্রদান করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বিলাস চন্দ্র রায় এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রধান।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন বাস্তবতা। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, নিয়োগ প্রসঙ্গে তারা কিছুই জানেন না। এমনকি মরিয়ম আক্তার নামে কোনো অফিস সহায়ক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন কিনা, তাও তারা অবগত নন।
গণমাধ্যমকর্মীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে মরিয়ম আক্তারকে উপস্থিত পাননি। সাবেক প্রধান শিক্ষক বিলাস চন্দ্র বর্মনকে প্রশ্ন করলে তিনি অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
অবাক করার বিষয় হলো, ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বিলাস চন্দ্র বর্মন ও নুরুল ইসলাম প্রধানের স্বাক্ষরিত একটি বেতন ভাউচার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে (স্মারক নং: গড়ঃউঃবিঃ/২০২৫-১৫)। অথচ শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বৈধ নথি নেই।
ফলে প্রশ্ন উঠছে—এই ভুয়া নিয়োগের পরীক্ষা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল? কত টাকা ঘুষে নিয়োগপ্রার্থী নির্বাচিত হলেন? আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করে কারা এই দুর্নীতির নেপথ্যে ছিলেন ।