কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: সেই কাজী কাদের নেওয়াজ এর বিখ্যাত কবিতা শিক্ষকের মর্যাদা দিয়ে শুরু করলাম। কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর।
একদা প্রভাতে গিয়া দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে, শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি আঙ্গলি।
প্রায় ৩ যুগ পেরিয়ে গেলেও মৃতবার্ষিকী কিংবা স্বরণসভা করা হয়না প্রয়াত শিক্ষাগুরু আব্দুল আজিজ এবং দপ্তরী আতিয়ার রহমানের, অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে তাদের মাজার দুটি।
তেনারা দুজনেই নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী ছিলেন। জানাগেছে ২ জুলাই ১৯৮৯ইং সালে অত্র বিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রয়াত সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল আজিজ এবং ১৯ নভেম্বর ১৯৯১ইং সালে নিজ বাড়িতে মৃতবরণ করেন দপ্তরী আতিয়ার রহমান। উল্লেখ্য যে, মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবস যথাযথভাবে পালন করলেও মৃতবার্ষিকী কিংবা স্বরণসভা করা হয়নি এই ২জন গুণি ব্যক্তির।
অথচ তাদের হাতে গড়া অধিকাংশ শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে এখন শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু ৩ যুগ পেরিয়ে গেলেও শিক্ষা গুরুর স্বরণ করেনি কোন দিন। মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ যুগে একাধিক ম্যানেজিং কমিটিতে তাদেরই ছাত্ররা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এমনকী শিক্ষা জীবন শেষ করে একাধিক ছাত্ররা দেশের সচিবলয় থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদস্থ দপ্তরে চাকুরী করছেন।
কিন্তু তাদের মৃত্যুবার্ষিকী হয়তো বা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে দুএকবার পালন করা হয়েছে, তাও আবার দায়সারাভাবে। মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকের নিকট সচেতন মহলের দাবী আগামী দিনে এই দুইজন গুণি ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনসহ তাদের প্রতি শ্রদ্ধাটুকু দেওয়ার জন্য।
প্রয়াত সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল আজিজ এর ছেলে রনচন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম রেজা এবং দপ্তরী আতিয়ার রহমানের ছেলে জনগনের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক বাদশাহ আলমগীর বলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বাবাকে শিক্ষক এবং কর্মচারী হিসেবে অমর্যদা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ এর সাথে মুঠো-ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি জেলায় মিটিংয়ে আছি।