সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই ও এনএসআই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে অতীতে। আজকে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে এতো বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে সবাই মিলে এই অরগাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রাখার কারণে। তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের শাস্তি হবে, অবশ্যই শাস্তি হতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে ‘পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই ও এনএসআই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে অতীতে। খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে এতো বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে এর কারণ হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনা সদস্য ও সিভিলিয়ান সবাই মিলে এই অরগানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছে। সে জন্য এতোদিন ধরে একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, অপরাধ করে থাকলে তাদের শাস্তি হবে, অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে চিরতরে বন্ধ করতে চাই। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজটা করবো এসব অরগানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড (অবমূল্যায়ন) না হয়।
তিনি বলেন, আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। এর বড় কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকেই জেলে। র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন গুম-খুনের তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অরগানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড (অবমূল্যায়ন) না হয়। এই অরগানাইজেশনগুলোকে আন্ডারমাইন্ড করে আপনারা যদি মনে করেন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, সেটা সম্ভব না। আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তার আগে যে সব সংস্কার করা প্রয়োজন অবশ্যই সরকার সেদিকে খেয়াল করবেন। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশটাকে একত্রিত রাখতে। আমাদের সাহায্য করতে হবে। উনি যেন সফল হতে পারে। সেদিকে আমরা সবাই চেষ্টা করবো।
Jag/N