Wednesday, 12 March 2025, 10:18 PM

রানের পাহাড় গড়েও ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারলো...

ডেস্ক স্পোর্টসঃ একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়েও জয় পেলেনা বিসিবি একাদশ। সফরকারী ইংল্যান্ড একাদশের কাছে হার মেনেছে ৪ উইকেটে।
আজ ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং থেকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। জবাবে ২৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রান সংগ্রহের মাধ্যমে জয়লাভ করে ইংল্যান্ড একাদশ।
বিসিবির পক্ষে ১২১ রান সংগ্রহ করেন ইমরুল কায়েস। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ৫১ এবং নাসির হোসেন ৪৬ রান সংগ্রহ করেন। তবে বরাবরের মত রান ব্যর্থতার গন্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খেয়েছেন সৌম্য সরকার। ইমরুলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসা এই ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়েছেন মাত্র ৭ রান নিয়ে। ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস ওকস ৩টি এবং উইলি ও স্টোকস ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
ইংল্যান্ড একাদশের পক্ষে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছেন জস বাটলার। এ ছাড়া মঈন আলী ৭০, জেমস ভিন্স ৪৮ ও বেন ডাকেট ২৯ রান সংগ্রহ করেন। বিসিবির পক্ষে ২ উইকেট নেন এবাদত হোসেন।
ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন ইমরুল কায়েস। ক্রিস ওকসকে ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারী ছাড়া করে নিজের উপস্থিতি জানান দেন তিনি। এক বল পর আবারও চার মারেন স্বাগতিক ওপেনার। এভাবেই নিজের ইনিংসটিকে সাজিয়েছেন ইমরুল। চারের পাশাপাশি ছয়টি ছক্কাও হাকিয়েছেন তিনি। লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বলে দুটি, মঈন আলীর বলে একটি ও পেসার উইলির বলে তিনটি ছক্কা হাকিয়েছেন ইমরুল। ফলে ঝড়ো গতিতে ৮১ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
ইমরুলের ব্যাট হাসলেও ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে থাকা সৌম্য এদিনও ছিলেন ব্যর্থ। ফলে বেশী দূর এগুতে পারেননি তিনি। দলীয় ইনিংসকে ৩৫ রানে রেখেই ৫ম ওভারে ব্যক্তিগত ৭ রানে বিদায় নেন তিনি। সৌম্যর বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান ইমরুল। এসময় ২য় উইকেট জুটিতে গড়ে তুলেন ৮৫ রান। ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে আউট হন নাজমুল। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকের সঙ্গেও ৭১ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। ৪৬ বলেই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৩৫ বলেই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন তিনি। ইনিংসের ২৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৯১ বলে খেলেছেন ১২১ রানের চমৎকার ইনিংস। যেখানে ছিল ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার মার।
ব্যাট হাতে এদিন মুশফিকও ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। পছন্দের সুইপ শটে চার মেরে শুরু করা এই ব্যাটসম্যান করেছেন ৫৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস। এরপর নাসির যোগ করেন ৪৬ রান।
৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬০ রান করা বিসিবি একাদশের স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে রানের চাকা ধীর হয়ে আসায় সেটি সম্ভব হয়নি। মাত্র ৪৯ রানের বিপরীতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিক দল। ফলে প্রত্যাশিত স্কোরটা আসেনি।
জবাবে ৩১০ রানের টার্গেটে তাড়া করার চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ইংলিশ ওপেনাররা শুরুটাও করেছে চমৎকার। ৭২ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন পেসার এবাদত হোসেন। জ্যাসন রয় ২৮ রান করে আউট হন। পরে আরেক ওপেনার ভিন্সকেও ফেরত পাঠান এবাদত। তিনি ৪৮ রান করেন। এক পর্যায়ে ১৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট ২৯, বেয়ারস্টো ১১ ও বেন স্টোকস ২৮ রান করে ফিরে যান। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে এসে চুড়ান্ত প্রতিরোধটা গড়ে তুলেন মঈন আলী ও অধিনায়ক জস বাটলার। ১৩৯ রানের জুটি গড়ে তারাই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুজনই। দলকে জয় থেকে ১ রান দূরে রেখে হন মঈন আলী আউট হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন বাটলার। বিদায়ের আগে মঈন ৫১ বলে ৭০ রান (৮ চার, ২ ছয়) করেন। বাটলার অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৮০ রান (৩ চার, ৪ ছয়) করে।

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P