শুভেচ্ছা বানী
করোনার তান্ডবে সাড়া বিশ্ব যখন তটস্থ, কম্পিত, বাংলাদেশ তখনও ততটা ভীতির কারণ হয়ে আসেনি কিন্তু আজ বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে করোনার মহামারী, জনমনে অতিষ্ট। করোনার ছোবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদেয় লক ডাউনে শত সহস্র শ্রমিক আজ কর্মহারা দিশেহারা। কাজের অভাবে সংসারে তিনবেলা ভাত ও রুটির সংস্থান করতে পারছেন না। কারো কারো ঘরে খাদ্যের অভাবে স্ত্রী, সন্তান, বুড়ো বাবা বা মা একবেলার খাওয়ার সংস্থান হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। সাংসারের চালিকা শক্তিটি তখন মুখ থুবড়ে পড়ে, তাকিয়ে তাকিয়ে অভাব নামক শত্রুটিকে দেখে ও তার কাছে পরাজয় বরণ করে। হেরে যায় ক্ষুধা নামক শব্দটির কাছে।
এমনি বিপর্যয় মুহুর্তে মুসলমানদের কাছে ফিরে এলো ঈদ উৎসব, পবিত্র ঈদ-উল-আাযহা। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল,উট, দুম্বা, ভেড়া ইত্যাদি কোরবানি’র মাধ্যমে হযরত ইসমাইল (আঃ) এর মহাত্ব্য প্রকাশ করি। এদিনে বিত্তবানদের কর্তৃক তাদের গরীব আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশিদরকে যাকাত দানের মাধ্যমে ঈদের খুশির তাৎপর্য প্রতিষ্ঠিত হয়। করোনায় লক ডাউন চলাকালীন নিয়ালা মাল্টি মিডিয়া সময়ে সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। গরীব-দুঃখীদের মাঝে নিজেদের সদস্যদের থেকে সংগ্রহীত অর্থের মাধ্যমে গরীবদের অন্ন, বস্ত্র ও ঔষধ প্রদান করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। কখনও কখনও ব্যক্তি বিশেষকে নগদ অর্থ দিয়ে সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
আসুন করোনার এই মহামারীতে আমরা আমাদের স্থান থেকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ, বস্ত্র, চাল, ডাল,তেল, লবন, চিনি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে গরীব আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি ও কর্মহারা শ্রমিকদের সাহায্য করে ঈদ-উল-আযহার পবিত্র দিনটি উদযাপন করি। তবেই না ঈদের তাৎপর্য প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি নিয়ালা মাল্টি মিডিয়ার পরচালকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকল কবি-সাহিত্যিক, এবং মাল্টি মিডিয়ার অন্যান্য কলা কুশলীদের জানাই ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি মাল্টি মিডিয়ার পক্ষ থেকে করোনায় আক্রান্ত বিপর্যস্ত পরিবারকে। প্রত্যাশা রাখছি সরকার কর্তৃক জারীকৃত নিয়ম নীতি মেনে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা মহামারী থেকে আমরা সহসাই মুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ! নিয়ালা মাল্টি মিডিয়া গরীব দুঃখীদের সহায়ক হিসেবে তাঁদের প্রাণঢালা ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকুক এ কামনায় আমি।
কবি মোঃ জহিরুল হোসাইন খান নাসিম, নিয়ালা মাল্টি মিডিয়া।