Sunday, 22 December 2024, 09:00 AM

শহীদ সাজ্জাদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন...

কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহিদ সাজ্জাদের রক্তের বিনিময়ে আমি দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। মুক্ত বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি। নির্বিঘ্নে চলতে পারছি পথ। এখন আর গ্রেফতার আতংক নিয়ে নিঘুর্ম রাত কাটাতে হয় না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারলে শহিদ সাজ্জাদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। জাতীয় সংসদের ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচি হয়েছিলো। দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয় হাসিনা। উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাড়াইশাল পাড়া গ্রামের মাঝাপাড়ায় শনিবার দুপুরে শহীদ সাজ্জাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে উল্লেখিত কথাগুলো বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন। এ সময় শহিদ সাজ্জাদের বাবা মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অদ্যাবধি সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা মিলেনি। এমনকি রাষ্ট্রের বর্তমান নীতি নির্ধারকদের কেউ এসে সহমর্মিতাও প্রকাশ করেনি। সাজ্জাদ ছিলেন এই পরিবারের বেঁচে থাকার অবলম্বন। এই বছরেই তার পড়াশোনা শেষ হতো। অধ্যায়ন শেষে ধরতো সাজ্জাদ পরিবারের হাল। সে ছাড়া আমার পরিবারটি বর্তমানে অথৈ সাগরে ভাসছে। নিজের কোন বাড়িঘর নেই। ভাড়া বাড়িতে কোন রকমে জীবনযাপন করছি। পৈত্রিক সূত্রে যতটুকু জমি ছিলো তার সবটুকুই কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের স্থানীয় নেতাকমর্ীরা। তারপর হলাম সন্তান হারা। তাই তিনি হাসিনা সরকারের সহযোগীদেরও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।


এদিন বেবী নাজনীনের সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ পারভেজ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, হাফিজ খান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর তারিক আজিজ, সদস্য সচিব পারভেজ আলম( গুড্ডু)   জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা অধ্যক্ষ রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।


শহিদ সাজ্জাদের পরিবারের হাতে এদিন বেবী নাজনীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পরে সেখান থেকে তিনি পৈত্রিক বাড়ি শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়ায় যান। সেখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দাদা দাদীর কবর জিয়ারত করেন,


ঢাকা থেকে বিমানযোগে সকাল ১১.২০ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দর চত্বরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিমানবন্দর চত্বরেই তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সময় তিনি বলেন, নিজ মাতৃভূমি তথা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য আগামী দিনে কাজ করতে চাইছি। সৃষ্টি করতে চাইছি নতুন নতুন কর্মসংস্থান। যাতে অবহেলিত উত্তরাঞ্চল আর্থিকভাবে এগিয়ে যায়।


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বরেণ্য কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, প্রার্থীতার বিষয়টি সময়ে কথা বলবে। দলের হাই কমান্ড এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে তিনি শহিদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক হমানের কর্মী হিসাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান।


দুপুরের খাবার শেষে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার, সুস্থতার জন্য রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায়, এবং সাম্প্রতিক ছাত্র- জনতার আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য কুরআন খানি ও দোয়া মাহফিলের অংশ নেন বেবী নাজনীন। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকার, সহ সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, সহ সভাপতি সুমিত কুমার আগারওয়ালা নিকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন (পাপ্পু), জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা শওকত হায়াত শাহ, আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মন্টু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, স্বেচ্ছা বিষয়ক সহ সম্পাদক আবুল সানওয়াত চৌধুরী বিএস, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সহ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক কার্জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব রশিদুল হক, সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু,  জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম মল্লিক, যুবদলের  যুগ্ম আহবায়ক রেজওয়ান আক্তার (পাপ্পু), সুজাল হক সাজু,  জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুজ্জামান দিনার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুপা, শ্রমিকদলের  সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, ছাত্রদলের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রাব্বী,সহ বিএনপির অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা,