নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে টেকনোলজিস্টদের অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ প্রদান বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের। এক্স-রে, ল্যাব, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিভাগ অচল হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের পক্ষে স্বাভাবিক সেবা প্রদান কঠিন হয়ে পড়েছে। সকাল ১০ টায় গিয়ে দেখা যায, টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বহি:বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা । এরা এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। কাঙ্খিত টিকেট নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধের জন্য ফার্মেসীর জানালায় দাড়িয়ে আছেন। তবে সেখানে নেই ফার্মাসিট। এতে আগতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমিরুল ইসলাম (৭৫) নামে এক রোগী জানান। সকাল সাড়ে ৯ টায় ডাক্তার দেখিয়েছি। এখানে সরবরাহ রয়েছে। এমন ওষুধ লিখেছেন। তবে ৩ ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও ওষুধ দিচ্ছে না। পওে জানতে পারলাম তারা হরতাল করেছে। একই অভিযোগ করেন মহসনা বেগম (৬২) নামে এক বৃদ্ধা। এমনি ভাবে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা অপেক্ষার পর ওষুধ নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন প্রায় ৫ শতাধিক রোগী। দিনের ১২ টা পর্যন্ত হাসপাতালে টেকনোলোজিষ্ট না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছিলেন ভর্তি রোগীরাও। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে। সেখানে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায়ে এক্সরেসহ অন্যন্য পরীক্ষা করেছেন। এদিকে, হাসপাতালটির প্রাঙ্গনে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন কর্মরত সকল টেকনিশিয়ানরা। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা এসাসিয়েশনের নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মবিরতিতে বক্তারা বলেন, গত ৩১ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট ও ফার্মাসিষ্টগণ তাদের প্যাপ্য সম্মান ও ন্যায্য অধিকার ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানিযে আসছেন। সরকার সম যোগ্যতা সম্পন্ন অন্যন্য ডিপ্লোধারীদের গ্রেড প্রদান করলেও মেডিকেলদেও বঞ্চিত করেছেন। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায না। টেকনোলোজিষ্ট মামুর রশিদ বরেন, সরকার বার বার আশ্বাস দিচ্ছেন। বাস্তবায়ন করছেন না। তাই দ্রুত দশম গ্রেড বাস্তাবায়নের দাবী জানান তিনি। না হলে আগামীতে শাট ডাউনের মত কঠোর কর্মসুচী পালনের হুশিয়ারী দেন। এ সময় টেকনোলোজিষ্ট সাইফুল ইসলাম নয়ন, জহুরুল ইসলাম, শেলী মধু, জান্নাতুন নাইজা, লাইসুল আলম, আতিকসহ উপজেলায় কর্মরত সকল মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট অংশগ্রহন করেন।