জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি প্রতিনিধিঃ ট্রেনের যাত্রী মা-মেয়েকে জুস পানে অজ্ঞান করে খুলে নেয় কানের দুল ও নাকের ফুল। এ সময় পাশের যাত্রী ঘটনাটি আঁচ করতে পেয়ে হাতেনাতে অজ্ঞান পার্টির চক্রের মূল হোতাকে ফুল মিয়া (৫৫) আটক করে। পরে যাত্রীরা তাঁর কাছে থাকা জুস যাচাই করতে তাঁকে পান করালে সে অজ্ঞান হয়ে লুটে পড়ে। সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ প্রতারকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্ল্যাপুরের আব্দুস ছামাদের পুত্র। ভুক্তভোগী যাত্রীরা হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই এলাকার দক্ষিন মালঞ্চ গ্রামের ইশনী রায়ের স্ত্রী কৌশিলা রায় (৫০) ও মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, আজ শনিবার ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের 'ঝ' বগির ৭৮, ৭৯ নং সিটের যাত্রী ছিলেন কৌশিলা ও বীথি। তাঁরা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসতেছিল। পাশের ৭৭ নং সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির চক্রের মূলহোতা ফুল মিয়া। আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে মা-মেয়েকে জুস পান করান। এতে ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেয়। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেয়ে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করায়। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তাঁর কাছে থাকা জুস তাঁকে পান করাতে বাধ্য করায়। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সকলের কাছে প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবগত করে তাদের হাতে তুলে দেয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী জানান, দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কৌশলা বালার ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
তিনি বলেন, অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী ও আসামীর জ্ঞান এখনো ফিরেনি।