কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপ নীলফামারী জেলার সভাপতি আরেফ রব্বানী (মানিক)কে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারনে গত ২৬ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে সভাপতি পদ থেকে তাহাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
জানাগেছে গত ২১ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে গ্রুপের সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে সংগঠনের সিংহভাগ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন এবং গত ২৩ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তাহাকে কারণ দর্শানো নোর্টিশ প্রদান করা হলেও এ বিষয়ে তিনি কোন প্রকার লিখিত জবাব প্রদান কিংবা অত্র কার্যালয়ে উপস্থিত হননি। ফলে সংগঠনের সংঘ বিধি ১৩ (ড) মোতাবেক ২৬ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে জরুরী সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মালিক গ্রæপের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অত্র সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে বাতিলসহ অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপ নীলফামারীর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী তারিকুল ইসলাম বলেন তাকে সভাপতি করার পর থেকে দেশের পটপরিবর্তনের পরে বিভিন্ন সময় তিনি নিজেকে অনেক বড় কিছু করার জন্য তুহিন ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকের কাছে বিভিন্ন লোকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপিকে লাঞ্চিত করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটে নিচ্ছে এতে করে বিএনপির মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন বৃহত্তর রংপুরসহ বিভিন্ন মালিক সমিতির নিকট গিয়ে বলেন আমাকে উত্তরাঞ্চলের তুহিন ভাই এসব দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন অথচ সে বিএনপির কোন সদস্য পদেও নেই।
জলঢাকায় তিনি ২২/২৩টি কাউন্টার ছিনিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ছেলেদেরকে বসিয়ে দিয়েছেন এবং সংগঠনের নিয়মবর্হিভূত করে বিভিন্ন গাড়ীর পার্মিশন দেন। এই জন্য তার নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আমরা কেবিনেটে মেজোরিটি পার্সোন এবং আমার মালিক সদস্য থেকে টুটাক মেজোরিটি নিয়ে তাকে আমরা বহিস্কার করেছি।
অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নীলফামারীর সভাপতি আরেফ রব্বানীর (মানিক) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার গ্রুপের আমার মেম্বাররা আমাকে অব্যাহতি দিতে পারে না এছাড়া মেজোরুটি পার্সোন বললে হয় না।
আগামীকাল আমাদের বিশেষ সাধারণ সভা আছে সেখানে সবাইকে আমরা দাওয়াত দিয়েছি সেখানে কথা হবে।