Thursday, 13 March 2025, 01:32 AM

তালাকের নোটিশের স্বাক্ষর শাকিবের নয় : অপু বিশ্বাস

বিনোদন ডেস্ক: তালাক নোটিশে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা শাকিব খানের নয় বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। অপুকে শাকিবের পাঠানো তালাক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকাল ১০টায় ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ মহাখালী কার্যালয়ে দুজনকেই উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল।


নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ এর মহাখালী কার্যালয়ের সালিশ পরিষদে অপু বিশ্বাস হাজির হলেও উপস্থিত ছিলেন না শাকিব খান। এসময় অপুর মামা স্বপন বিশ্বাস তার সঙ্গে ছিলেন। শাকিব খান বর্তমানে ব্যাংককে রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখানে ‘আমি নেতা হব’ ছবির গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন শাকিব।


সেখান থেকে বেরিয়ে অপু বিশ্বাস গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। অপু বলেন, আমি শাকিব খানের স্বাক্ষর চিনি। বিভিন্ন সময়ে তার স্বাক্ষর দেখেছি।  কিন্তু তালাক নোটিশে শাকিবের নামে যে সই করা হয়েছে সেটা আসলে শাকিবের নয়। তার প্রকৃত স্বাক্ষরের সাথে এটার কোনো মিল নেই।


জানা গেছে, প্রায় আধাঘণ্টা শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদের শুনানি হয়। শাকিব খান না থাকায় সালিশের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি।


অপু বিশ্বাস বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি শাকিব খানের পক্ষের কাউকে দেখলাম না। আমি ভেবেছিলাম তার পক্ষ থেকে কেউ না কেউ আসবে। ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য শাকিব খান যে সমস্ত তথ্য কিংবা প্রমাণ দিয়েছেন সেখানেও তথ্য-প্রমাণের অনেক ঘাটতি রয়েছে। আর আমার তো একটি বাচ্চা রয়েছে এবং ধর্মান্তরিত হয়েছি। আমি শাকিবের সংসার করতে চাই।


অপু বিশ্বাস বলেন, শাকিব যদি রাগের মাথায় এই সিদ্বান্তটি নিয়ে থাকে, তার বাচ্চার কথা চিন্তা করে হলেও এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়া উচিত। এখন যা ঘটছে এতে আমার সম্মানহানি হচ্ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমি বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে দেখব না।


এদিকে মহাখালির ডিএনসিসি অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, আমরা প্রথম নোটিশ দিয়েছিলাম, এরপর বিবাদী পক্ষের অপু বিশ্বাস আজ ১২টার দিকে হাজির হয়েছেন। এবং তার বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি মিমাংসা চান। তবে বাদি শাকিব খান হাজির হননি। আমরা দ্বিতীয় শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছি ১২ ফেব্রুয়ারি।


ঐ কর্মকর্তা বলেন, আমরা নতুন করে আরেকটি নোটিশ জারি করব। এরপর যদি না আসেন আমরা তৃতীয় নোটিশ দেবো। এরপরও যদি দুজনই না আসেন, তারপর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। আইন অনুযায়ী ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।


আইনি বিষয় সম্পর্কে বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তির পর তাদের কেউ পারিবারিক আদালতে যাবেন কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।  আবার চাইলে তাদের যে কেউ মামলাও করতে পারবেন। একটি ডিভোর্স কার্যকর করার জন্য যে তথ্য ও প্রমাণ দরকার তার অনেক কিছুই শাকিব খান প্রদান করেননি।


 


 


 


 


K/K/N.

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P